মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে প্রবাসী শ্রমিকদের বেতন না দিয়ে দুই কোটিরও বেশি টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছেন বাবুল মিয়া নামে এক বাংলাদেশি। স্থানীয় সময় ২৩ আগস্ট (রোববার) রাতে দেশটির রাজধানী দোহা ফিরোজ আবদুল আজিজ এলাকায় প্রতারক বাবুল মিয়ার বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী প্রবাসী শ্রমিকরা।
এই সময় শ্রমিকদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন- কাজী লোকমান আজীজ। আরও উপস্থিত ছিলেন- মিজানুর রহমান, মুস্তাফিজুর রহমান, সাইফ উদ্দিনসহ ভুক্তভোগী প্রবাসী শ্রমিকরা।
জানা গেছে, প্রতারক বাবুল মিয়ার দেশের বাড়ি নোয়াখালীর লক্ষ্মীপুর সদর থানার পারবতিনগর ইউনিয়নের মাছিমনগর গ্রামে। গত ১১ আগস্ট কাতার থেকে গোপনে বাংলাদেশে পালিয়ে যান তিনি।
বাবুল মিয়াকে গ্রেফতার করে বিচারের দাবী জানানোর পাশাপাশি ভুক্তভোগী প্রবাসী শ্রমিকদের মজুরি ফেরত পেতে দেশটির বাংলাদেশ দূতাবাস, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা কামনা করেন শ্রমিকরা।
প্রসঙ্গত, কাতারের বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানই এখন প্রবাসী শ্রমিকদের নিয়মিত বেতন দিচ্ছে না। বৈধ বা অবৈধ যেই আটক হোক না কেন তাদের ছাড়িয়ে আনছে না নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত মার্চ পর্যন্ত কাতারে বাংলাদেশি কর্মী গেছে সাত লাখ দুই হাজার ৫৮৭ জন। এর মধ্যে ২০১৭ সালে গেছে ৮২ হাজার ১২ জন। আর চলতি বছরের তিন মাসে গেছে ২১ হাজার ৩৪৯ জন। কিন্তু এক লাখের মতো কর্মী আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকে। সে হিসাবে ছয় লাখের মতো কর্মী কাতারে এখন আতঙ্কের মধ্যে আছে।
ভুক্তভোগী শ্রমিকরা বলছে, রাস্তায় কিংবা প্রতিষ্ঠানের বাইরে অবৈধ শ্রমিকদের সঙ্গে বৈধদেরও কাতারের পুলিশ আটক করে। সে ক্ষেত্রে কোম্পানিগুলো কারখানা থেকে পালিয়ে গিয়ে অবৈধভাবে অন্য কারখানায় চাকরি করছে অভিযোগ তুলে বৈধদেরও ছাড়াতে ব্যবস্থা নেয় না। প্রতিষ্ঠানগুলো এখন বেতন দিতে না পারায় এই কৌশল নিয়েছে।