সেই চট্টগ্রাম থেকে সাত আইনজীবী এনেও মুক্তি মিললো না অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যা মামলার প্রধান তিন আসামি বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী ও এসআই নন্দদুলালের। এই তিন আসামিকে তৃতীয় দফায় আবারও তিন দিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। খারিজ করে দেয়া হয়েছে জামিন আবেদন।
শুক্রবার (২৮ আগস্ট) প্রত্যেক আসামির তৃতীয় দফায় চারদিন করে রিমান্ড চেয়ে র্যাবের আবেদনের ওপর দুপক্ষের শুনানি শেষে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এ আদেশ দেন।এর আগে বেলা আড়াইটার পর প্রদীপ, লিয়াকত ও নন্দদুলালকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে হাজিরের আগে করা হয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা।
দ্বিতীয় দফায় চার দিনের রিমান্ড শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাব-১৫ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) খায়রুল আলমের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারক তামান্না ফারাহ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অপরদিকে অ্যাডভোকেট আহসানুল হক হেনার নেতৃত্বে একটি আইনজীবী প্যানেল চট্টগ্রাম থেকে আদালতে হাজির হয়ে ওসি প্রদীপসহ তিন জনের জামিন আবেদন করেন। একই সঙ্গে রিমান্ড বাতিলেরও আবেদন করেন। দীর্ঘ শুনানির পর কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ আবেদন দুটি নাকচ করে জামিন নামঞ্জুর করেন এবং প্রত্যেককে তিন দিন করে রিমান্ডের আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খাইরুল ইসলাম জানিয়েছেন, মামলাটি খুবই স্পর্শকাতর। তাই অধিকতর তদন্তের স্বার্থে আসামিদের আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের প্রয়োজন। তাই চার দিনের রিমান্ড আবেদনের প্রেক্ষিতে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। আমরা চাই সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত হোক।
প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার- টেকনাফ মেরিন ড্রাইভে শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। ঘটনার পর পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় দুটি ও রামু থানায় একটি মামলা করে। এই মামলায় সিনহার দুই সফরসঙ্গীকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে ৫ আগস্ট কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা করেন সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। এতে আসামি করা হয় পুলিশসহ মোট ৯ জনকে।