বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। দীর্ঘ ২৬ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কোবিরোধী এমন আন্দোলন দেশটিতে বিরল। দীর্ঘ মানববন্ধনে সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যের পাশাপাশি জোরালো আন্দোলনের ডাক দেন বিক্ষোভকারীরা।
এক বিক্ষোভকারী বলেন, শুরুতে আমাদের মধ্যে অনেক উদ্যম ছিলো। অনেকেই বলছেন আন্দোলন কিছুটা স্তিমিত হয়ে গেছে। আমাদের মনে রাখতে হবে লুকাশেঙ্কো ২৬ বছর ধরে শাসন করছেন, তাই আমরা এটি রাতারাতি বদল করে ফেলতে পারবো না। এই দুর্বিষহ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য আমাদের ধীরে ধীরে অগ্রসর হতে হবে।
সরকারবিরোধী বিক্ষোভের পাশাপাশি লুকাশেঙ্কোকে সমর্থন জানিয়েও দেশটির বিভিন্ন স্থানে সমাবেশ হয়েছে। লুকাশেঙ্কোর সমর্থকদের দাবি, তার শাসনের মাধ্যমেই দেশটিতে স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন সম্ভব।
এদিকে, নতুন গঠিত বিরোধী পরিষদের শীর্ষ দুই সদস্যকে ক্ষমতা দখলচেষ্টার অভিযোগে মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর দেশটিতে দেখা দেয়া রাজনৈতিক সংকট সমাধানে গেল সপ্তাহে গঠন করা হয় এই পরিষদ।
দেশকে স্থিতিশীল রাখতে ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কঠোর কৌশল নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো। বলেন, আমি আজীবন ক্ষমতায় থাকবো না। কিন্তু বিরোধীরা যখন ক্ষমতায় আসবে তখন কী করবে সেটা নিয়ে আমি চিন্তিত। তারা আপনাদের সর্বস্ব লুটে নেবে। তখন কী হবে? জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। তাই তাদের সুরক্ষা দেয়া আমার দায়িত্ব।
নতুন করে নির্বাচন না দেয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখতে বেলারুশ জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন নির্বাচনের পরপরই সরকারের চাপে লিথুয়ানিয়ায় নির্বাসিত বিরোধী নেত্রী ভিতলানা টিখানোভস্কায়া। তিনি উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত হলে দেশে ফিরবেন বলেও জানা গেছে।