বৈশ্বিক মহামারী কোভিড-১৯ এর টিকা আবিষ্কারে অনেক দেশই কাজ করছে।তবে সবার জন্য নিরাপদ এবং কার্যকর প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত করোনাভাইরাসের কোনো টিকার অনুমোদন দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। খবর ডয়চে ভেলে।
এ ব্যাপারে ডব্লিউএইচও’র মুখপাত্র মার্গারেট হ্যারিস বলেছেন, বাস্তবসম্মত সময়ের আগামী বছরের মাঝামাঝির আগে কার্যকর ও নিরাপদ করোনা টিকা আশা করা যায় না।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-ডব্লিউএইচও টিকার ‘চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষায় যথেষ্ট সংখ্যক মানুষের’ স্বেচ্ছায় অংশ নেওয়ার বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছে। তবে এও বলেছে, চূড়ান্ত পরীক্ষার ফল পেতে আরো সময় লাগবে এবং হয়তো একটি কার্যকর ও নিরাপদ টিকা হতে পেতে আগামী বছরের মাঝামাঝি সময় লেগে যাবে। ডব্লিউএইচও-র মুখপাত্র মার্গারেট হ্যারিস বলেন, ‘বাস্তবসম্মত সময়ের নিরিখে আমরা সত্যিই আগামী বছরের মাঝামাঝির আগে বিশ্বজুড়ে একটি কার্যকর ও নিরাপদ টিকা দেখতে পাওয়ার আশা করতে পারি না।
এদিকে, ডব্লিউএইচও টিকার চূড়ান্ত ট্রায়ালে যথেষ্ট সংখ্যক মানুষের স্বেচ্ছায় অংশ নেওয়ার বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছে।তবে, চূড়ান্ত ট্রায়ালের ফল পেতে আরো সময় লাগবে। হয়তো একটি কার্যকর ও নিরাপদ টিকা হাতে পেতে আগামী বছরের মাঝামাঝি সময় লেগে যাবে – বলে জানিয়েছে ডব্লিউএইচও।
অপরদিকে, জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের প্রেসিডেন্ট তিজ্জানি মুহাম্মদ বন্দে বলেছেন, শুধু টিকা উদ্ভাবন হলেই সংকটের সমাধান হবে না। বরং বিশ্বের সব মানুষের হাতের নাগালে টিকা পৌঁছাতে হবে বলে তিনি সতর্ক করেছেন।
তিনি বলেন, যদি মাত্র একটি দেশ করোনা সংকট থেকে বেরিয়ে আসে, তার অর্থ বাকি বিশ্বকে তখনও করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সংকট মোকাবিলা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এজন্য সবার অন্তর্ভুক্তি চাই। এটাই মূল চাবিকাঠি। এরমধ্যেই যারা পেছনে পড়ে গেছে তাদের যদি অন্তর্ভুক্ত করা না যায়, তাদের দুর্ভোগ যদি অব্যাহত থাকে তবে এ সংকটের ক্ষেত্রে শান্তি ফেরানোর কোনো নিশ্চয়তা দেওয়া যায় না।
প্রসঙ্গত,রাশিয়া এবং চীন এরইমধ্যে বৃহৎ আকারে টিকার কার্যকারিতা পরীক্ষা (চূড়ান্ত ট্রায়াল) ছাড়াই প্রাথমিকভাবে টিকার ব্যবহার শুরু করে দিয়েছে। দেশ দুটিতে টিকা নিতে আগ্রহীদের যথেষ্ট সাড়াও পাওয়া গেছে।