নারায়ণগঞ্জের মসজিদে এসি বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৬ জনে।শনিবার (০৫ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. পার্থ শংকর পাল।
তিনি জানান, নারায়ণগঞ্জের ঘটনায় এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১৬।
শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মোট ৩৭ জন রোগী ভর্তি করা হয়েছিল। বাকি যারা ভর্তি আছেন তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন।
মৃত ১২ জন হলেন রিফাত (১৮), মোস্তফা কামাল (৩৪), জুবায়ের (১৮), সাব্বির (২১), কুদ্দুস ব্যাপারী (৭২), হুমায়ুন কবির (৭০), ইব্রাহিম (৪৩), মুয়াজ্জিন দেলোয়ার হোসেন (৪৮), জুনায়েদ (১৭), জামাল (৪০), জুবায়ের (৭) ও রাশেদ (৩৪)। বাকি চার জনের নাম এখনও জানা যায়নি।
এদিকে,পঞ্চাশ হাজার টাকা না দেওয়ায় নারায়ণগঞ্জের তিতাস কর্মকর্তারা বাইতুল সালাত মসজিদের গ্যাস পাইপে লিকেজ সংস্কার করেননি বলে অভিযোগ করেছেন মসজিদ কমিটির সভাপতি আবদুল গফুর।শনিবার সকালে (৫ সেপ্টেম্বর) তিতাস গ্যাসের তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এলে তাদের সামনেই এ অভিযোগ করেন আবদুল গফুর।
তিনি বলেন, লিকেজের বিষয়ে তিতাস কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু ৫০ হাজার টাকা না দেওয়ায় তারা এ সমস্যা সংস্কার করেননি। তবে মসজিদ কমিটি এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেনি। মৌখিকভাবে নারায়ণগঞ্জের তিতাস গ্যাস অফিসের কর্মকর্তাদের জানানো হয়।
এ বিষয়ে তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আল মামুন ঘটনাস্থলে তদন্ত করতে এসে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে ৫০ হাজার টাকা উৎকোচ দাবি বিষয়ে বলেন, তদন্ত কমিটি সার্বিক বিষয় নিয়ে কাজ করছেন। যদি তিতাস কর্তৃপক্ষের ৫০ হাজার টাকা অভিযোগের বিষয়ে জড়িত থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণ হয়। এরপর দগ্ধ ৩৭ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন দগ্ধ মুসল্লিদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।মসজিদের নিচে গ্যাসের লাইনে অসংখ্য লিকেজ থেকে গ্যাস বের হয়ে এ বিস্ফোরণ ঘটে বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছিলেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।