কোমায় থাকা রাশিয়ার বিরোধী দলীয় নেতা আলেক্সাই নাভানলি চিকিৎসার জন্য জার্মানি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সাইবেরিয়ার ওমস্ক শহরের হাসপাতালের চিকিৎসকেরা তার শারিরীক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানানোর পর তাকে জার্মানি নিয়ে যাওয়া হয়। সঙ্গে রয়েছেন তার স্ত্রী ইউলিয়া। শনিবার (২২ আগস্ট) সকালে তাদের বহনকারী বিমানটি বার্লিনের তেগেল বিমানবন্দরে অবতরণ করে। তাকে জার্মানির রাজধানী শহরটির চ্যারিতে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হবে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) সকালে একটি ফ্লাইটে সাইবেরিয়ার টমস্ক থেকে মস্কো ফেরার সময়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন আলেক্সাই। এর আগে বিমানবন্দরের ক্যাফেতে তিনি চা গ্রহণ করেছিলেন। তার মুখপাত্র কিরা ইয়ারমাশ অভিযোগ করেন, চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে তাকে বিষ প্রয়োগ করা হয়ে থাকতে পারে। পরে বিমানটিকে জরুরি ভিত্তিতে সাইবেরিয়ার ওমস্কে অবতরণ করানো হয়। হাসপাতালে ভর্তির পর তিনি কোমায় চলে যান।
নাভানলির ঘনিষ্ঠরা তাকে চিকিৎসার জন্য জার্মানি নিয়ে যেতে চাইলেও ওমস্ক হাসপাতালের তরফ থেকে প্রথমে বলা হয়, তার শারিরীক অবস্থা এতটাই নাজুক যে স্থানান্তর করা ঝুঁকিপূর্ণ। পরে পরিবারের তরফ থেকে সত্য লুকানোর অভিযোগ তোলা হয়। পরে শুক্রবার রাতে ডাক্তাররা জানান, ফ্লাইটে নেওয়ার মতো যথেষ্ট স্থিতিশীল হয়েছে নাভানলির শারিরীক অবস্থা। শনিবার সকালে জার্মান এনজিও সিনেমা ফর পিস নামে এক সংস্থার পাঠানো বিমানে তাকে বার্লিনে নিয়ে আসা হয়।
সিনেমা ফর পিস ফাউন্ডেশন’র প্রতিষ্ঠাতা, অ্যাকটিভিস্ট ও চলচ্চিত্র নির্মাতা জাকা বিজিলজ স্থানীয় একটি সংবাদপত্রকে জানিয়েছেন, ফ্লাইটের সময় জুড়ে এবং তার পরেও নাভানলির শারিরীক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। এর আগে সাইবেরিয়ার ওমস্ক শহরের ডাক্তাররা জানান নাভানলির জীবন তাৎক্ষণিক সংকটের মুখে নেই।
উল্লেখ্য, রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের কঠোর সমালোচক আলেক্সাই নাভানলির ওপর এ ধরনের হামলার ঘটনা এবারই প্রথম নয়। এর আগে ২০১৭ সালেও একবার তার মুখে রাসায়নিক পদার্থ লাগিয়ে দেওয়া হয়। ২০১৯ সালে বিক্ষোভ আয়োজনের দায়ে ৩০ দিনের কারাবাসের সময় শরীরে মারাত্মক অ্যালার্জি জনিত প্রতিক্রিয়ার শিকার হন তিনি। ওই সময়েও তিনি তার ওপর বিষপ্রয়োগের অভিযোগ আনা হয়েছে।