বিরোধপূর্ণ নাগার্নো-করাবাখ অঞ্চলে আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়ার মধ্যে সামরিক সংঘর্ষ আরও জোরদার হয়েছে। আজারবাইজানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর গাঞ্জাতে রকেট হামলা চালিয়েছে আর্মেনিয়া। এতে এক বেসামরিক নাগরিক নিহত ও চার জন আহত হয়েছে। বড় রকমের সংঘর্ষের পর কারাবাখ এলাকায় বেশ কয়েকটি গ্রাম দখলের দাবি করেছে আজারবাইজান।রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) দক্ষিণ ককেশাসে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে অষ্টম দিনের মতো সামরিক সংঘাত চলছে।
আনাদোলু এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে, আজারি বাহিনী কারাবাখের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর পুনরুদ্ধার করেছে। রোববার কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ জাবরায়েল শহরটি দখলে নেয়ার ঘোষণা দেয় আজারবাইজানের মিত্র তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
আজারবাইজান এই হামলার প্রতিশোধ হিসেবে আর্মেনিয়ার সামরিক ঘাঁটিগুলোর ওপর হামলা চালানোর ঘোষণা দিয়েছে।
গত সপ্তাহে বিতর্কিত সীমা নাগরনো-কারাবাখ নিয়ে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে পরোক্ষ লড়াই শুরু হয়। মূল লড়াইটি আর্মেনিয়ার সঙ্গে নয় বরং নাগরনো-কারাবাখে আর্মেনিয়ার অনুগত বাহিনী ও আজারবাইজানের মধ্যে চলছিল। এবার যুদ্ধে আর্মেনিয়া সরাসরি নিজেদের সম্পৃক্ত করলো।
প্রেসিডেন্টের সহযোগী হিকমত হাজিয়েভ বলেছেন, ‘আর্মেনিয়ার অভ্যন্তরের যেখান থেকে গোলাবর্ষণ করা হচ্ছে আজারবাইজান সেসব সামরিক লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করবে।’
তিনি জানান, নাগরনো-কারাবাখ সীমান্তবর্তী আজেরিতেও হামলা চালিয়েছে আর্মেনিয়া। সেখানে বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়েছে।
আর্মেনিয়া অবশ্য আজারবাইজানের ওপর সরাসরি হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
নাগরনো-কারাবাখের নেতা জানিয়েছেন, তার বাহিনী গাঞ্জার একটি সামরিক বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছিল। তবে বেসামারিক হতাহত ঠেকাতে গোলাবর্ষণ বন্ধ রাখা হয়।
এদিকে, গানজা শহরে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর আর্মেনীয় হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে তুরস্ক।
আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলীয়েভ শনিবার (৩ অক্টোবর) ঘোষণা করেছিলেন, তাদের সামরিক বাহিনী কারাবাখ অঞ্চলের সাতটি গ্রাম দখলে নিয়েছে। আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ বক্তব্য সমর্থন করে বলেছে, তাদের সামরিক বাহিনী আরও বেশকিছু নতুন এলাকা দখল করেছে।